1. b71newstv@gmail.com : Moshiur Rahman : Moshiur Rahman
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১০:২০ অপরাহ্ন

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ২০ বছর যাবত ভাজা বাদাম বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন শামিম

আজিজুল হক বাবু টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৬৮৩ Time View

 

দীর্ঘ ২০ বছর যাবত টাঙ্গাইলের নাগরপুরে অলি গলিতে ভ্যানে করে স্ত্রী ও সন্তানদের দু মুটো ভাত ও কাপড় জোগাতে দিন ও রাতে টাটকা গরম বাদাম,ছোলা ও শিমের বিচি বিক্রি করছেন মো.শামিম মিয়া।

নাগরপুরের ৪০ বছরের শামিম মিয়াকে বাদাম বিক্রেতা হিসাবে কম বেশি সবাই চেনেন। ভ্যানে চুলা বসিয়ে বাদাম ছোলা,শিমের বিচি ভেজে তা বিক্রি করেন সাধারণ মানুষদের কাছে। প্রতিদিন গড়ে লাভ হয় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।বাদাম বিক্রেতা শামিমের দেশের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হলেও ২৩ বছর ধরে নাগরপুরের বাবনাপাড়ায় ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও ৪ সন্তান নিয়ে বসবাস করেন।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন সকাল, বিকাল ও রাত্র ১০ টা পর্যন্ত উপজেলা চত্ত্বর,যদুনাথ স্কুল গেট,মধ্য বাজার,বটতলাসহ বাদাম ও ছোলা বিক্রি করেন শামিম এটা তার নিত্যদিনের ব্যবসায়িক রুটিন একারনে শামীম বেশ জনপ্রিয়তা হয়ে উঠছে সকল শ্রেনী মানুষের কাছে।

কলেজ ছাত্র আব্দুল কাদের নামে এক বাদাম ক্রেতা মিডিয়া কর্মীদের বলেন,শামিম ভাইয়ের কাছে গরম ভাজা বাদাম পাওয়া যায়। তাই অন্য কারো কাছ থেকে বাদাম নেই না। ঠান্ডা বাদামের চেয়ে গরম ভাজা বাদাম খেতেই বেশি মজা লাগে।

নাম প্রকাশে ইচ্ছুক না অপর এক ক্রেতা বলেন, সন্ধ্যায় নাগরপুর বাজারে এই বাদাম বিক্রেতাকে পাওয়া যায়। প্রতিদিন ১০ টাকার বাদাম ১০ টাকার ছোলা কিনে নিয়ে বউ বাচ্চা নিয়ে খাই। শীতের মৌসুমীতে গরম এবং টাটকা ভাজা বাদাম আর ছোলা খেতে অনেক ভালো লাগে।

আবুল নামে এক বয়স্ক ব্যক্তি বলেন প্রায় ১৪ বছর এই বাদাম বিক্রেতা শামিম চিনি।তার স্বভাব চরিত্র অনেক ভাল।নিয়মিত ৫/১০ টাকার তার কাছ থেকে কিছু না কিছু কিনে খাই।

বাদাম বিক্রেতা মো.শামীম গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে নাগরপুরে ভ্যানে করে মানুষের সামনে বাদাম,ছোলা ভেজে বিক্রি করি। ক্রেতাদের রুচি অনুযায়ী ভাজি। শীতের সময় বাদাম,ছোলা,শিমের বিচি অনেক বিক্রি হয়। কিন্তু গরম মৌসুমে বিক্রির পরিমাণ কমে আসে। বর্তমানে কাঁচা বাদাম,ছোলা ও শিমের বিচির দাম অনেক বেশি থাকলেও আমার গড়ে ৬/৭ শত টাকা লাভ হয়। তিনি আরও বলেন এই বাদাম বিক্রি করে আমি ৪ সন্তান বড় করেছি বর্তমানে আমার ছোট দুটি সন্তান মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। এই বাদাম বিক্রি করেই আল্লাহর রহমতে পরিবার নিয়ে অনেক ভালো আছি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category