1. b71newstv@gmail.com : Moshiur Rahman : Moshiur Rahman
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ন

সুনামগঞ্জ অবৈধ ভাবে বালু পাথর উত্তোলণ বন্ধ করে দেওয়ায় সিন্ডিকেটের রোশানলে সদর থানা ওসি

কে এম শহীদুল ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০২৩
  • ৪৮৫ Time View

সুনামগঞ্জ ইজারা বিহীন ধোপাজান চলতি নদীতে অবৈধ ভাবে বালু ও পাথর উত্তোলণ বন্ধ করে দেওয়ায় এবার সিন্ডিকেটের রোশানলে পড়েছেন সদর থানার ওসি ও দাড়গা। গত ৪ বছর যাবৎ ইজারা বিহীন অবস্থা রয়েছে ভারত বাংলাদেশ সিমান্তবর্তী এলাকায় বিশ্বম্ভরপুর থানা ও সদর থানা এরিয়াজুড়ে অবস্থিত ডলুরা বালু ও পাথর মহাল। যেখানে বালু পাথর উত্তোলন করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে চলে হাজারো শ্রমিকের পরিবার। কিন্তু মামলার জঠিলতার কারনে কয়েক বছর ধরে এই বালু মহালটি হাইকোর্ট এর নিষেধাজ্ঞা থাকার কারনে বার বার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা করা হলেও এসব নিষেধাজ্ঞা মানছে না নদীর পাড়ে থাকা শ্রমিকেরা। তারা প্রতি নিয়ত পুলিশের চোখ ফাকিঁ দিয়ে রাতের আধাঁরে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করে নদীর পাড়ে বোঝাই দিয়ে রাখে এবং পুলিশের চোখ ফাকিঁ দিয়ে নৌকা যুগে নৌপথে বাহির হওয়ার পথে পুলিশের নজরে পড়লে পুলিশ ঐ সমস্ত নৌকা আটক করে আইনের আওতায় এনে মামলা দায়ের করেন অথবা নিলামে জড়িমানা করেন। যার কারনে ঐ সমস্ত বালু ও পাথর উত্তোলণের সিন্ডিকেটের সদস্যরা পড়েন মামলা অথবা জড়িমানার ফান্দে। আর এসমস্ত অবৈধ বালু পাথর উত্তোলণের একাদিক ধারা বাহিক সংবাদ পেপার পত্রিকায় প্রকাশ হলে পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে সদর থানা কর্তৃক কঠুর নিরাপত্তার জন্য ধোপাজান চলতি নদীর খালের মুখে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে চেকপোষ্ট বসানো হয় । যাতে কোন ভাবেই রাতের আধাঁরে অবৈধ বালু ও পাথরের নৌকা বেড় হতে না পারে। এতে করে অবৈধ ভাবে বালু ও পাথর উত্তোলণকারীরা পড়েন মহাবিপাকে। আর এসমস্ত অবৈধ পাথর উত্তোলনের খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসন, নৌ পুলিশ,জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা নৌকা ধরে মামলা দেওয়ায় সিন্ডিকেটের মধ্যে দিধাদন্ধ সৃষ্ঠি হয়ে তিনটি গ্রুপিং তৈরী হয়। সিন্ডিকেটের সদস্যরা ব্যবসা করার জন্য ইচ্ছে করে অবৈধ ভাবে শ্রমিকদের দিয়ে পাথর উত্তোলণ করে নিজেরাই নদীর পারে স্টক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের খবর দিয়ে নিলামে কিনে নেন এবং নিলামের নামে নৌকাযুগে নিলামের মাল নৌপথে বাহির করার অনুমতি পত্র সংগ্রহ করে নেন। ধোপাজান নদীর খালের মুখে পুলিশের চেকপোষ্টএ ঐ কাগজের ফটোকপি দেখিয়ে পুলিশকে বোকা বানিয়ে নিলামের মাল বলে বাহির করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের রমরমা ব্যবসা। শত চেষ্টা করেও সদর থানা ওসিকে ম্যানেজ করতে না পারায় একই সিন্ডিকের সদস্যারা বুঝে গেছে ঐ ওসি থাকলে তারা অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলণ করতে পারবে না। তাই বিকল্প রাস্তা হিসেবে সিন্ডিকেটের মধ্যে সিন্ডকেট তৈরী করে সুনামগঞ্জ সদর থানা ওসি ও এক দাড়গার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সেক্টরে অন্য এলাকার ভাড়াঠিয়া লোক এনে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করে চলেছে। এবং সেই অভিযোগের কপি সাংবাদিকদের হাতে দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করানোর পায়তারায় সাংবাদিকদের ধারে ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমনটি বাস্তবে দেখা যায় একটি অভিযোগের কাগজে ও সিন্ডিকেটের দৌড় যাপে। জানাযায় গত ২৩ শে মার্চ সুনামগঞ্জপৌর শহরের হাছন নগরের কলেজ রোর্ডের বাসিন্দা মেডিকেলে আউটসোর্সিং এ কর্মরত এক সদর হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়কে দিয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ও এসআই শরীফের নাম জড়িয়ে কয়েকজন চিহ্নিত বালু ও পাথর ব্যবসায়ীর নামের সাথে পুলিশের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ বিভিন্ন সেক্টরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এবং সাংবাদিকদের দিয়ে সামাজিক যোগাযগের মাধ্যমে পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করানো হচ্ছে। অভিযোগের বিষয়ে সত্য জানতে অনুসন্ধাঁনে বেড়িয়ে আসে অন্য চিত্র। খোজঁ নিয়ে দেখা যায় অভিযোগকারী ও সাক্ষীরা কোন বালু ব্যবসায়ী নয় তাদের ভাড়া করে এনে একই সিন্ডিকেটের বন্ধুবান্ধব মিলে সদর থানা ওসি ও এসআই শরীফের মান সম্মান ক্ষুণ্য করতে এবং তাদের বিতারিত করার কৌশল অবলম্বন করতে নাটক তৈরি করছে। যাতে উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষকে ভুল বুঝিয়ে ।অন্য কোথাও বদলি করতে পাড়লে ধোপাজান নদীর পাড় কেটে বালু ও পাথর অবৈধ ভাবে উত্তোলণ করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে সহজ হবে। এ বিষয়ে অভিযোগকারী সদর হাসপাতালে কর্মরত ওয়ার্ডবয় মিজানুণ হক ডনের মোবাইল ফোনে বার বার রিং হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসভি করেন নি। এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আপনারা জানেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক যে পাথর নিলাম হয়েছিল সেই পাথর নৌপথে বেড় হয়েছে আমাদের পুলিশকে নিলামের কাগজ দেখিয়ে। এখানে পুলিশের কোন দোষের কিছু নেই। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পত্র দিয়ে নিলামের পাথর বাহির হলে কেউ যদি বলে পুলিশ নৌকা ছেড়ে দিচ্ছে সেটা ভুল। আপনারা সাংবাদিক খোজঁ নিয়ে দেখুন যদি কোন পুলিশ অপরাধ করে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য বিত্তিক নিউজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ###

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category