সুনামগঞ্জ শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী চান মিয়া (চাঁদ সওদাগর) এর পেট্রোল পাম্পের দেওয়া বরাদ্দকৃত মসজিদের জায়গা জোরপূর্বক দখল করার পায়তারা এবং জোরপূর্বক ভাবে অবৈধ স্হাপনা তৈরী করার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ৪ এপ্রিল রাত ১০ঘটিকায় শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড পানসী রেস্টুরেন্ট এর ২য় তলায় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ন্যায় বিচারের দাবী জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে একটি অভিযোগ পত্র পাঠ করেন বলাকা
ফিলিং স্টেশন এর ম্যানেজার শামীম আহমদ। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী স্মরণ, বাস,মিনিবাস,কোষ্টার,মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: নং ১৮৬৫ এর কার্যকরী পরিষদের সভাপতি সেজাউল হক,সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, লন্ডন প্রবাসী রিগান আহমদ, ব্যাবসায়ী রাজন আহমদ,জাহাঙ্গীর আলম ও আলী হোসেন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত অভিযোগটি উল্লেখ করে বলেন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার ওয়েজখালীর ইছাক আলীর পুত্র আব্দুল মছব্বির, মৃত কুতুব আলীর পুত্র জাহেদ আলী,শহীদের পুত্র মাছুম,কদ্দুছ এর পুত্র সুমন,আদিলের পুত্র সারোয়ার,হালুয়ারগাওয়ের উকিল আলীর পুত্র ফরিদ মিয়া,মল্লিকপুরের আব্দুল জাহান,গোপাল দাস ও ওয়েজখালীর নুর উদ্দিনসহ অজ্ঞাত আরো ১২ জন জবরদখলকারী গত ৩রা এপ্রিল সোমবার ভোর রাত ৩টায় ব্যাবসায়ী মরহুম চাঁন মিয়ার মালিকানাধীন ওয়েজখালী বলাকা পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বের মসজিদের জায়গার সংলগ্ন অবৈধ ভাবে দখলে নেয়ার লক্ষ্যে জায়গার মালিকের কোনপ্রকার অনুমতি ছাড়াই জোরপূর্বকভাবে টিনশেড ঘর তৈরী করে। মালিকপক্ষ অবৈধ দখলে বাঁধা দিলে উক্ত সন্ত্রাসীরা তাদের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দেয়ায় চিহ্নিত এ চক্রটি পুলিশ প্রশাসন,বাস মালিক ও শ্রমিকদের বিঁধিনিষেধ অমান্য করে জোরপূর্বক টিনসেড ঘর নির্মাণ করে। এ ব্যাপারে শহরের হাছননগর নিবাসী মরহুম চাঁন মিয়ার পুত্র মশিউর রাজা প্রকাশিত টিংকু বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রক্ষিতে জানা যায়,দখলবাজীর আগে সুনামগঞ্জ আন্ত: জেলা বাস মালিক সমিতি ও সুনামগঞ্জ জেলা বাস,মিনিবাস,কোস্টার,মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: নং ১৮৬৫ কার্যকরী পরিষদের নেতৃবৃন্দ সুনামগঞ্জ সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে সদর মডেল থানায় বৈঠক করে আসামীদেরকে বর্ণীত জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ থেকে বিরত থাকার জন্য নিষেধ প্রদান করেন। তারপরও অদৃশ্য শক্তির খুঁটির জোরে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা জোরপূর্বকভাবে বর্ণিত জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। এসময়ে এই শহরের মনিরুল ইসলাম মনির বলেন,বর্ণিত জায়গাটি চাঁন মিয়া জীবীত অবস্থায় মসজিদের জন্য রেখে যান। এবং ছেলের কাছে ২৫ লাখ টাকাও প্রদান করেন। কিন্তু কথিত ট্রাক মালিক চালকসহ চিহ্নিত চাঁদাবাজদের জোরপূর্বক দখলবাজী ও অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড স্থাপনের অপচেষ্টার কারণে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগটিও বেহাত হচ্ছে।
ভুক্তভুগীরা সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন উক্ত সিসি টিভির ফুটেজ দেখে অবৈধ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করলে শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে দখলবাজী ও চাঁদাবাজী বন্ধ হবে। অন্যথায় অবৈধ দখলদার চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের দাপট বেড়ে যাবে। সাংবাদিকদের উদ্যেশ্য করে বলেন,এই ভূমি দখলবাজ ও চাঁদাবাজদের খুঁটির জোর কোথায় আপনারা খোঁজে বের করার দাবী জানান।####