হবিগঞ্জ বানিয়াচঙ্গ উপজেলার মক্রমপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারতলা গ্রামে আদিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় জাহাঙ্গীর মিয়া (৪২) নামে এক ব্যক্তি নিহত ও ৫ জন পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার ওই গ্রামের আজমান মিয়া ও কাছুম আলীর লোকজনের মধ্যে শিশুর ঝগড়া নিয়ে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে আটক করেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল থেকে দু’পক্ষের লোকজন একাধিকবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সকালে উভয় পক্ষের লোকজন সংগর্ষে লিপ্ত হলে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দুপুরে এবং বিকালে পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয় উভয় পক্ষের লোকজন। এতে দু’পক্ষই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে। বিকেলে সংঘর্ষের ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে জাহাঙ্গী মিয়া নিহত হয়। নিহত জাহাঙ্গীর কাছুম আলীর পক্ষের লোক বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার এসআই সন্তোষ, এসআই মনিরসহ একদল পুলিশকে সন্ধ্যার পর থানা থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে দেখা গেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করার খবর পাওয়া গেলেও আটককৃতদের নাম পাওয়া যায়নি। করে এদিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে ও উভয়পক্ষে উক্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ বদিউজ্জামান ও ডিবি পুলিশ হাসপাতাল থেকে ১০ দাঙ্গাবাজ কে আটক করে। মৃত্যু খবর চাউর হলে গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে। তবে এব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাস্থলে থাকার কথা জানিয়ে বলেন, সংঘর্ষে ধলাই মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর নিহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস সেল নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় ১০ দাঙ্গাবাজকে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি জানান, পুলিশ আহত হওয়ায় পুলিশ এসল্ট মামলা মামলা হবে।