রুহিয়া থানাধীন ১নং রুহিয়া ইউনিয়নের টি-৯১ রেলওয়ে গেট সংলগ্ন পশ্চিম পাশে রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখল পূর্বক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি রুহিয়া ইউনিয়ন কার্যালয় ভবন নিমার্ণের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। যেন দেখার কেউ নেই।
সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক দেখা যায়, নাম সর্বস্ব একটি সাইনবোর্ড দীর্ঘদিন ধরে উক্ত জায়গায় টাঙ্গিয়ে রাখে কতিপয় স্বার্থান্বেশী ব্যক্তি। উক্ত সাইনবোর্ডের বরাতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে অফিস ঘর নির্মাণ কাজের অভিযোগ উঠেছে ঐ স্বার্থানেশী মহলের বিরুদ্ধে। অথচ তাদের সাথে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই। উক্ত জায়গায় দলীয় কার্যালয় নির্মাণ হলে পথচারীসহ স্কুল কলেজের কোমল মতি শিশুরা অনায়াসেই দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রুহিয়া রেলগেটের মামুন, কশালগাঁওয়ের দুলাল, জামিল সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, রুহিয়া রেলওয়ে স্টেশনের সন্নিকটে টি-৯১ গেটটি অবস্থিত। এই গেটদিয়ে রুহিয়ার সমস্ত স্কুল-কলেজে যেতে হয় আমাদের সন্তানদের। এমতাবস্থায় উক্ত স্থানে অফিস ঘর নির্মাণ করলে যে কোনো সময়ে ট্রেন দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়।
এ বিষয়ৈ জানতে চাইলে বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি রুহিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক মহেশ্বর বর্মন বলেন, শুনেছি জমিটি রেলওয়ের কাছে লিজ নেয়া হয়েছে। তবে আমার কাছে কোনো কাগজ পত্র নেই। কারণ পার্টির সভাপতি আব্দুস সামাদ মাস্টার বেশ কিছুদিন পূর্বে গত হয়েছেন। উক্ত জমিতে অবৈধ পন্থায় ঘর নির্মাণ করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত এই প্রশ্নের জবাব তিনি এরিয়ে যান।
রুহিয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নিরঞ্জন রায় বলেন, রেলওয়ের জমিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির অফিস তৈরির বিষয়টি আমি রেলওয়ের যথাযথ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। আশাকরি কর্তৃপক্ষ অতিশিঘ্রই প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এহেনাবস্থায় ভুক্তভোগি এলাকাবাসী রেলপথমন্ত্রীসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।