ব্রহ্মপূত্র, ধরলা ও তিস্তা নদীর বিস্তৃর্ণ চর জুড়ে এখন বাদামের সবুজ ক্ষেত ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। যেদিকে চোখ যায়, শুধু সবুজ আর সবুজে ভরা বাদাম ক্ষেত। নদীর বুকে জেগে উঠা চরগুলো যেন সেজেছে নতুন সাজে।
সবুজে ভরা বাদামের ক্ষেত এখন কৃষকের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র , ধরলা ও তিস্তা সহ বিভিন্ন নদনদীর তীরে পরিত্যক্ত উঁচু ও বালুযুক্ত চরে বাদামের চাষ ভালো হয়েছে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বিপ্লব কুমার মোহন্ত ২মে মঙ্গলবার বিকেলে এ প্রতিবেদককে কে জানান, চলতি মৌসুমে ৪’শ ৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু তা ছড়িয়ে ৮ শ ৯০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনেক বেশি বলে মন্তব্য করেন । কম খরচে বেশি লাভ থাকায় কৃষকরা ঝুঁকে পড়ে এ চাযে জমিতে কৃষকদের নিবিড় পরিচর্যায় বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। ২
মে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর চরে গিয়ে দেখা যায়, চরগুলো যেন নতুন করে সেজেছে। শুধু মাঠের পর মাঠ বাদামের সবুজ ক্ষেত। জেগে উঠা চরের বালুতেই জেগে উঠা সবুজ বাদাম ক্ষেতকে ঘিরেই স্বপ্ন এসময় বাদাম চাষের সাথে জড়িত উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে দই খাওয়ার চরের আলা বক্স, মহির উদ্দিনখা, কাজিম উদ্দিন সহ অনেক কৃষক বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোগ-বালাই কম, তাই ফলনও ভাল হবে। বিঘা প্রতি ৫ মণ বাদাম উৎপাদন হলে কৃষকরা সবাই লাভবান হবেন। এছাড়া চলতি বছর চর গুলোতে সূর্য্যমূখি, সরিষা, তিল, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন তৈল জাতীয় শষ্য চাষাবাদ করে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন।