ঝালকাঠি শহরের নতুন কলাবাগান এলাকা খলিলুর রহমানের ভাড়াটিয়া বলাই কর্মকার এর পরিবারের উপর মোবাইল চুরির অপবাদে ১৪ ই জুলাই শুক্রবার থেকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনে আহত হয়েছেন বলাই কর্মকার
(৫৫) স্ত্রী রাধারানী (৪০) এবং শিশু কন্যা উদ্বোধন প্রাথমিক বিদ্যালয় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সুবর্ণা কর্মকার
(১০)। বলাই কর্মকার ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
বলাই কর্মকার বলেন আমি কোন কাজকর্ম করতে পারিনা আমার স্ত্রী নতুন কলাবাগান এলাকার সোহরাফ হোসেনের ছেলে রাসেল হোসেনের বাসায় জ্বী এর কাজ করতো। এক মাস ১৩ দিন কাজ করার পর বেতন বাবদ ৭০০ টাকা দেয়। টাকা কম হওয়ায় তার বাসায় আর কাজ করবে না বলে চলে আসেন।
এরপর শুক্রবার ১৪জুলাই মোবাইল চুরির অপবাদে আমাকে আমার স্ত্রী , শিশু কন্যা ও আমাকে মারধর করে। এভাবে বুধবার পর্যন্ত আমাদের উপর নির্যাতন চালায়। মঙ্গলবার সকালে রাসেলের স্ত্রী আমার স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালায় এবং যৌনাঙ্গে আঘাত করে।
আঘাতে আমার দুটো পা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে যায়। আমার শিশু কন্যা সুবর্ণা ও তার নির্যাতন হইতে রক্ষা পায়নি তাদের নির্যাতনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে।
বলাই কর্মকার নুতন কলাবাগান এলাকায় খলিলুর রহমানের বাসায় দীর্ঘ নয় মাস পর্যন্ত বসবাস করে আসছেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন নাহার বলেন আজ বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করতে নুতন কলাবাগান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে জানতে পারি একটি পরিবারকে ৪/৫ দিন পর্যন্ত আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে। আমি এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি।
এবং অভিযুক্ত রাসেলের বাসায় পুলিশ নিয়ে ছুটে যায় অভিযুক্ত রাসেলের বাসা বন্ধ রয়েছে ।অভিযুক্ত রাসেল পালিয়ে গিয়েছে বলে জানতে পারি।
এ বিষয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার বলেন মঙ্গলবার রাত দুটোর দিকে আমাকে একজনে মোবাইলে মেসেজে জানায় ঘটনা। আমি সকাল দশটার দিকে ছুটে যাই ঘটনা স্থানে সবকিছু জেনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন দেই। তিনি সাথে সাথে ছুটে আসেন। তিনি আরো বলেন একটি মোবাইলকে কেন্দ্র করে একটি পরিবারের উপর এভাবে নির্যাতন সহ্য করার মতো নয়। দেশে আইন আছে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি।
এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির বলেন ঘটনা শুনে এখানে ছুটে এসেছি খুবই দুঃখজনক বিষয় ।
এ বিষয়ে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার মেহরিন বলেন রাধা রানীর যৌনাঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে আমরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
আহত বলাই ও সুবর্ণাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেছি।আহত বলাই কর্মকার বলেন আমাদের পরিবারের উপর নির্যাতনের সঠিক বিচার চাই আমরা মামলা করব।
এ বিষয়ে অভিযুক্তকারী রাসেলের ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।