পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বসতবাড়ীর সামনের ফাকা যায়গায় ঘরতোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত -২
গত মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের কৈডাঙ্গা নদীপাড়া গ্রামে এ হামলার ও শ্রীলনতাহানীর ঘটনা ঘটে।গুরতর আহত হলেন হাফিজুল ইসলাম (৫৭) ও সালেহ খাতুন(৩৫)।
প্রতক্ষদর্শী এলাকাবাসী, ও অভিযোগ সুত্রে জানাযায় গত মঙ্গলবার ৫ই ডিসেম্বর সকাল ১১টার দিকে শ্রী বিকাশ মোঃহাফিজুলের বাড়ি উত্তর পাশে ফাঁক যায়গায় ঘর উঠানোর জন্য সাবল ও ঘরের টিন সিমেন্টের খুটি নিয়ে নিয়ে যায়। এতে করে হাফিজুল বলে এ যায়গা আমার চাচা হাজী সরবেশ আলীর যায়গা। এ যায়গায় ঘর উঠানো উচিত হবে না, তোমার। এতে শ্রী বিকাশ হুক্কার দিয়ে বলে, আমি ছাত্রলীগ করি, উপর মহলের নির্দেশ আছে, আমি এ যায়গায় ঘর তুলবই, এ বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।বেশি কথা বললে আজ তোকে মেরেই ফেলব এ কথা বলেই এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে,।
এবং বিকাসের ছোট ভাই কার্তিক, চাচা শ্রী চন্ডি দাশ ইট,খোয়া, মাটির ডেলা দিয়ে ডিল ছুড়তে থাকে , এবং বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে ও সালেহার শ্রীলনতা হানি করে, এক পর্যায় হাফিজুল আত্ম রক্ষার্থে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলে, বিকাশও দৌড়ে হাতে থাকা সাবল দিয়ে আঘাত মাথায় আঘাত করে।হাফিজুলের স্ত্রী প্রান ভিক্ষা চাইলেও সে দিকে কর্নপাত করে না।
গুরুতর আহত হাফিজুল ও শায়লাকে দ্রুত ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করলে অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত পাবনা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। তিনি এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন, শঙ্কামুক্ত নন।
এলকাবাসি আরো বলেন ইতি পূর্বে শ্রী বিকাশ, আবদুল কুদ্দুসকে মারধর ও তার মেয়েদের শ্রীলনতা হানি করে। এবং বিভিন্ন ধরনের মারামারি ও অনিয়ম নিয়ে থাকে, যা ইউনিয়ন পর্যায়ে কয়েকটি বিচার শালিস হয়েছে।
এদিকে বিষয়টি গনম্যধমকর্মী মিনু রহমান খান অবগত হলে কয়েকজনের ধারনকৃত কয়েকটি প্রামান্য ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেন, তাৎক্ষণিক পরিস্থিতির শৃঙ্খলা ফিরে আনতে ভাঙ্গুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃরাশিদুল ইসলাম ফোন করলে, রাশিদুল ইসলাম সঙ্গীই ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাৎক্ষণিক জিজ্ঞেসাবাদ শেষে হাতে- নাতে, শ্রী বিকাশ ও শ্রী কার্তিককে, হ্যান্ডকাপ পরিহিত অবস্থায় গ্রেফতার করেন।
তৎসঙ্গে আলামত, সাবল,বাস, সিমেন্টের খুটি, সহ প্রয়োজনীয় মালামাল জব্দ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন , জিজ্ঞেসাবাদ শেষে এলাকা ত্যাগ না করার শর্তে এলাকায় গনমান্য ব্যক্তির জিম্মায় আপাতত ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ।
এদিকে পাবনা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন হাফিজুলের অবস্থা আশংকা জনক।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক টুকনের নিকট জানতে চাইলে বলেন, মারামারি বিষয়ে তিনি কিছু শুনেছেন