1. b71newstv@gmail.com : Moshiur Rahman : Moshiur Rahman
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ০২:০২ অপরাহ্ন

প্রধান শিক্ষকের সাপোর্টে কুকর্ম করে মিঠুন- এলাকাবাসী

কে এম সাইফুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪
  • ২০৭ Time View

 

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া পিঞ্জুরী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন বারুরীর সাপোর্টেই কুকর্ম করে বেড়াচ্ছে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর মিঠুন মন্ডল(২৬)। এরই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক সময়ে উক্ত ল্যাব অপারেটর বিদ্যালয়ের কয়েকজন সাবেক এবং অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দেয়। এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে গনমাধ্যম কর্মীদের অনুসন্ধানে। সরজমিন ঘুরে জানা যায়, মিঠুন মন্ডল ২০২৩ সালের নভেম্বরে উক্ত বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে যোগদান করেন। সেকশনে কাজ না থাকায় প্রধান শিক্ষক তাকে সপ্তম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের পাঠ দানের দায়িত্ব দেয়। ছাত্রীদের সাথে অসাদাচারনের বিষয়টি এলাবাসির মাধ্যমে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষককে অবগত করলেও পায়নি কোন সুরাহা। উল্টো বিভিন্ন তালবাহানায় ঘটনা ধামাচাঁপা দেওয়ার চেষ্টা চালায় প্রধান শিক্ষক বলে ক্যামেরায় বক্তব্য দেয় নাম প্রকাশ করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী। তারা বলেন- মিঠুন স্যার বিভিন্ন সময়ে আমাদের ডেকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে প্রেম করা সহ রিলেসন স্থাপন করতে বলে। এমনকি আমরা ওয়াশ রুমে গেলে তিনি উকিঝুকি মারেন। ঘটনাটি জানা জানি হলে ব্যাপাক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীর মধ্যে। ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলা উদ্দিন তালুকদার, মোঃ মান্নান শেখ, আবু হানিফ হাওলাদার সহ ২৮জন এলাকাবাসী এ ঘটনার সঠিক বিচার চেয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তারা বলেন- প্রধান শিক্ষক ব্যবস্থা নিলে মিঠুন এতটা সাহস পেতো না, তার সাপোর্টেই মিঠনু মন্ডল ছাত্রীদের সাথে আকাম কুকাম বা আজে বাজে কথা বলার সুযোগ পেয়েছে, আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই। এ ব্যাপারে ৫জন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কর্তৃক লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান তালুকদার চঞ্চল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন- এলাকাবাসী আমাকে ভালোবেসে বিশ্বাস করে এ গুরু দায়িত্ব দিয়েছে, বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীই আমার সন্তান সমতুল্য, তাদের ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব আমার। কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর মিঠুন যা করেছে আমি প্রশাসনের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে তার সুষ্ট বিচারের দাবি জানাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিঠুন মন্ডল জানান- অর্থের বিনিময়ে এলাকায় আমার প্রতিপক্ষ ঐ শিক্ষার্থীদের দ্বারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট কথা বলিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন- আমি এলাকার লোকজনকে বলেছি ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে, বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তদন্ত করছেন। এ বিষয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিক নুরআলম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, আমি নিজেই তদন্তে যাব, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category