গোপালগঞ্জ পৌর এলাকার কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণ করায় পৌরবাসীর প্রশংসায় ভাসছে পৌর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন।
গত শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদের প্রথম দিন, রোববার ঈদের দ্বিতীয় দিন এবং সোমবার ঈদের তৃতীয় দিন গোপালগঞ্জ পৌর এলাকার ১৫টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের আশায় সামর্থ্য অনুযায়ী ধর্মীয় বিধি-বিধান মেনে হাজার হাজার গরু ও ছাগল জবেহ করেন।
এদিকে গোপালগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে কেন্দ্রীয় পৌর ঈদগাহ ময়দানে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান সহ হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা বড় জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করে বাড়িতে ফিরে মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের আশায় প্রিয় পশুকে কুরবানী দিয়েছেন। কুরবানী পরবর্তী পশুর রক্ত, গোবর ও বর্জ্যগুলো থেকে যেন কোন অবস্থাতেই রোগ-জীবাণু ও দুর্গন্ধ না ছড়ায় এবং শহরের রাস্তাঘাট সহ আশপাশের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে সে লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের দিক-নির্দেশনায় পৌর প্রশাসকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পৌরবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং এর মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও হ্যান্ড লিফলেট বিলি করা হয়। এছাড়াও গোপালগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়, এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগণ পৌরসভায় পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে নিয়োজিত সকল পরিচ্ছন্ন (নারী ও পুরুষ) কর্মীদেরকে হাতে-কলমে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করেন যা পৌরসভার ইতিহাসে এবারই প্রথম। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা আধুনিক এবং যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ পেয়ে এবার দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করে নির্দিষ্ট স্থানে সংগৃহীত বর্জ্য ব্যবস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা অপসারণ করে সেখানে পৌরসভার পক্ষ থেকে দেওয়া ব্লিচিং পাউডার সিটি এ রোগ জীবাণু ধ্বংস করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধি কে এম সাইফুর রহমান পবিত্র ঈদুল আযহার দিন বিকেল বেলা থেকে শুরু করে ঈদের তৃতীয় দিন পৌরসভার মনোহর / সওদাগর পট্টি, এস এম মডেল স্কুল এলাকা, মৌলভীপাড়া, মিয়াপাড়া, বেদগ্রাম, বিসিক শিল্প নগরী, পাওয়ার হাউস রোড এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে গিয়ে ওই এলাকার স্থানীয় পৌরবাসীর সাথে কথা বলে গোপালগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক এবারের ঈদুল আযহা পরবর্তী বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপন সম্পর্কে জানতে চাইলে শহরের সাহাপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা জয়দেব সাহা, গোপালগঞ্জ বড় বাজারে কসাই হিসেবে দায়িত্বরত মোঃ আব্দুল করিম, পাওয়ার হাউস এলাকার সহযোগী অধ্যাপক আজমল পাশা, বেসিক শিল্পনগরী এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ হেকমত কাজী সহ একাধিক সাধারণ জনগণ ও পৌরসভার নাগরিক তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান ও পৌর প্রশাসক বিশ্বজিৎ কুমার পাল সহসভাপতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।