নাম নিতাই চন্দ্র। বয়স প্রায় (৪৫) বছর। বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার ধরণীবাড়ি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের কিসামত মধুপুর কেকতির পাড় গ্রামের শ্রী বৃষ্টিরাম এর পুত্র জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধি নিতাই চন্দ্র চোখে দেখন না। আর ছোট বেলা থেকেই পাশের বাড়ির টেলিভিশন ও টেপ রের্কডার থেকে সিনেমার গান শুনে তা বাশিঁর সুরে বাজিয়ে গান করেন। গত ৩০ বছর থেকে কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তায় রাস্তায় বাশের বাশিঁ বাজিয়ে মানুষের কাছ থেকে যা পায় তা দিয়ে কোন রকম দিন কাটিয়ে আসছেন। সরকার থেকে তার প্রতিবন্ধী ভাতা হয়েছে। তার বসত ভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই সংসারে তার স্ত্রী দুই পুত্র সন্তান রয়েছে ।তার পরিবারে কাজ করার মতো সে ছাড়া আর কেউ নেই। একখন্ড জমিতে কোন বসত বাড়িতে। স্ত্রী দুই সন্তান সন্তানকে নিয়ে বসবাস করেন নিতাই চন্দ্র। ভিক্ষা করলে মানুষ বিভিন্ন কথা বলে। তা ছাড়া ভিক্ষা যা দেয় তা দিয়ে সংসার একেবারেই চলে না। তাই ভিক্ষা বৃত্তি বাদ দিয়ে সপ্তাহে ৩-৪ দিন সকাল বেলা হাতে বাঁশি ও একটি ব্যাগ নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায় এলাকায় রাস্তায় ঘাটেও হাট-বাজারে। সেখানে বাশিঁর সুরে বিভিন্ন গান গেয়ে যে টাকা পায় তা দিয়ে সংসার কোন রকম চলছে। আবার অসুস্থ্য থাকলে বাড়ী শুয়ে থাকতে হয়। বাশিঁ বাজিয়ে মানুষদের আকৃষ্ট করে আর টাকা উপার্জন করে সংসার চালাতে হয় তার। এদিকে সরকারীভাবে প্রতিবন্ধি ভাতা হিসেবে ৩ মাস পর পর ২২০০ টাকা করে পায় তিনি
দৃষ্টি প্রতিবন্ধি নিতাই চন্দ্র বলেন, জন্ম থেকেই অন্ধ আমি। গত প্রায় ৩০ বছর আগে রেডিও টেলিভিশনে গান শুনে তা আবার বাঁশির সুরে বাজিয়ে মানুষদের শুনাই। গান শুনে মানুষ যা দেয় তা দিয়া কোন রকম সংসার চলে পরবর্তী সরকারের কাছ থেকে আমি প্রতিবন্ধী ভাতা পাই এতে আমার আর্থিকভাবে কিছুটা সহযোগিতা পাচ্ছি। আগের মত বিভিন্ন জায়গায় যাইতে পারিনা অন্যের উপর ভর করে। আমাদের এলাকায় অনেক বড় লোক আছে। তারা যদি আমাকে সাহায্য সহায়তা করতো তবে যতদিন বেচে থাকতাম সুস্থ্যভাবে থাকতাম।
বাঁশি বাজিয়ে যা পাই তা দিয়ে সংসার কোন রকম চলে। এদিকে বয়স বাড়ছে দিন দিন আমার শরির খারাপ হয়ে যাচ্ছে জানিনা ভাগ্য কি আছে।
এব্যাপারে ধরনিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এরশাদুল হকের সাথে শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান দৃষ্টি প্রতিবন্ধি নিতাই চন্দ্র দুই ভাই তারা গরীব নিতাই চন্দ্র ছোট ভাইকে এবার ভিজিডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। আর নিতাই চন্দ্র প্রতিবন্ধী ভাতা পায় সে বাঁশি বাজিয়ে রাস্তা-ঘাটে, হাট-বাজারে মানুষদের গান শুনাই। এতে খুশি হয়ে মানুষ যা দেয় তা দিয়ে সংসার চালায় কোন রকম। সরকারীভাবে কোন সহায়তা তাকে দেয়া যায় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখবো। তবে আশেপাশে যারা প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি রয়েছে তারা যদি তার পাশে দাড়ায় তাহলে তার দারিদ্রতা কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলে তিনি আশাবাদী।