গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজমকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ১০ টার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় স্ত্রী সহ ভারতে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যশোর বেনাপোল ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট যাচাই-বাছাইকালে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, যশোর বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস মোল্লা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস মোল্লা বলেন, মেডিকেল ভিসায় ভারতে যাওয়ার উদ্দেশে সকালে জি এম সাহাব উদ্দিন আজম বেনাপোল ইমিগ্রেশনে পৌছান। কিন্তু তার পাসপোর্টটি লক থাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনি হত্যা সহ একাধিক মামলার আসামি। ফলে তাকে আটক করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী ও গোপালগঞ্জ থানায় মামলা থাকায় সেখানেও জানানো হয়েছে।
আটক আওয়ামী লীগ নেতা জি এম সাহাব উদ্দিন আজম জানান, তিনি ও তার স্ত্রী দু’জনই গুরুতর অসুস্থ। জরুরি চিকিৎসার জন্য তারা ভারতে যাচ্ছিলেন। স্ত্রীর বিরুদ্ধে কোন মামলা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জি এম সাহাব উদ্দিন আজম বেশ কয়েক বছর ধরে নানা ধরনের জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগেও তিনি একাধিকবার চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। এবারও সেই উদ্দেশ্যেই বৈধ পথে তিনি বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রওনা হয়েছিলেন।
এদিকে অসুস্থ গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিনকে পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, কর্মী -সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা নিঃশর্তে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।