1. b71newstv@gmail.com : Moshiur Rahman : Moshiur Rahman
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ০৫:২৬ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে কলেজ শিক্ষক সহ আটক -৩ জন

কে এম সাইফুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
  • ৩৫৪ Time View

 

গোপালগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে এক কলেজ শিক্ষকসহ আটক হয়েছেন ৩ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুঈদ চৌধুরী।

ধৃত ব্যক্তিরা হলেন, মুকসুদপুর উপজেলার খাঞ্জাপুর গ্রামের মোঃ ফরিদ মোল্লার ছেলে মোঃ আরমান মোল্লা (১৮), বহু গ্রামের কেশব সরকারের ছেলে প্রদীপ সরকার (১৮) ও বাশবাড়িয়া গ্রামের মোঃ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৪২)। অভিযুক্ত মোঃ জাহিদুল ইসলাম মুকসুদপুরের একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষক বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পরে এ সংক্রান্তে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ মুঈদ চৌধুরী নিজে বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত ২৮/০৩/২০২৪ তারিখে গোপালগঞ্জ শেখ হাসিনা স্কুল এন্ড কলেজে পুলিশ কনষ্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রের কক্ষ নং ২০৪ এর ইনচার্জ হিসাবে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুঈদ চৌধুরী দায়িত্বরত ছিলেন। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০ টা‍র সময় পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থী সনাক্তকরন কালে রোল নং ৫৭১০২৯৮ এর ব্যক্তিকে সন্দেহ হলে তিনি তাহার প্রবেশপত্র যাচাই করে প্রবেশপত্রের ছবি ও পরীক্ষার্থীর চেহারার অমিল পান। ১নং আসামী মোঃ আরমান মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, আর্থিকভাবে লাভের উদ্দেশ্যে ৩নং আসামী মোঃ জাহিদুল ইসলামের সহায়তায় পুলিশ কনষ্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রকৃত পরীক্ষার্থী ২নং আসামী প্রদীপ সরকার এর পরিবর্তে সে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। ১নং আসামী মোঃ আরমান মোল্লা আরো জানায় ২নং আসামী প্রদীপ ও ৩নং আসামী জাহিদুল ইসলাম পরীক্ষা কেন্দ্রের বাহিরের গেটে অবস্থান করছে। তিনি তখন তাৎক্ষনিকভাবে জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদেরকে বিষয়টি অবগত করে পরীক্ষা কক্ষে দায়িত্বরত অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় ১নং আসামীর মাধ্যমে কৌশলে ২নং ও ৩নং আসামীকে পরীক্ষা কক্ষে হাজির করা হয়। পুলিশ সুপার, গোপালগঞ্জ মহোদয় পরীক্ষা কেন্দ্রের উক্ত কক্ষে উপস্থিত হইয়া দেখিতে পান যে ২নং আসামী প্রদীপ সরকার এর পরিবর্তে ১নং আসামী মোঃ আরমান মোল্লা ভূয়া পরিচয় দিয়ে প্রদীপ সরকারের নাম ব্যবহার করিয়া পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে মর্মে স্বীকার করে। পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা পিপিএম ভূয়া পরীক্ষার্থীর উক্ত পরীক্ষার খাতা বাতিল করেন এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। অভিযুক্ত মোঃ আরমান মোল্লা পরীক্ষার্থী না হওয়া সত্বেও নিজেকে পরীক্ষার্থী হিসাবে হাজির করিয়া প্রদীপ সরকারের পরিবর্তে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করা ও অন্যান্য আসামীরা পরীক্ষার্থীকে সহায়তা করার অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন ১৯৮০ এর ৩/৯(৩)/১৩ ধারায় অভিযোগ উঠায় এবং অভিযুক্তরা নিজেদের দোষ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category