1. b71newstv@gmail.com : Moshiur Rahman : Moshiur Rahman
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন

সাড়ে ৩শ কলার গাছ নিধনের অভিযোগ মহাদেবপুরে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধে স্বামী-স্ত্রীকে মারপিট

মোঃ মিজানুর রহমান মানিক নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : রবিবার, ১৮ জুন, ২০২৩
  • ৩৭২ Time View

 

নওগাঁর মহাদেবপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট করে পুকুরপাড়ে লাগানো সাড়ে ৩শ কলার গাছ নিধন করেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সারতা পশ্চিমপাড়া গ্রামে। স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ২০ বছর ধরে বাড়ীর পাশের শরীকান একটি পুকুর লীজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন ওই গ্রামের মো. আতাউর রহমানের পুত্র মাজহারুল ইসলাম মাবিয়া। ওইদিন বিকেলে পুকুর লীজের টাকা পাওনা আছে দাবী করে একই গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের পুত্র মো. ফিরোজ হোসেন, মো. হবিবর রহমানের তিন পুত্র মো. এনামুল হক, মো. এমরান হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেন, মো. আমজাদ হোসেনের দুই পুত্র মিজানুর রহমান ও মুজাহিদ হোসেন এবং মৃত মোশনার পুত্র মো. ফারুক হোসেন হামলা চালিয়ে পুকুর পাড়ে লাগানো প্রায় সাড়ে ৩শটি কলা গাছ দুমড়ে-মুচড়ে ও উপড়ে ফেলে নষ্ট করে। এ সময় তাদেরকে কলাগাছগুলো নষ্ট করতে নিষেধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মাজহারুল ইসলাম মাবিয়া ও তার স্ত্রী মোছা. রিপন আরার উপর আক্রমণ করে। তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ী মারপিট করতে থাকে। এক সময় এনামুল হক মোছা. রিপন আরার বুকের উপর উঠে লাথি মারতে থাকে। এতে মোছা. রিপন আরা ও মাজহারুল ইসলাম মাবিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন। এ ব্যাপারে ফিরোজ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারপিট ও কলাগাছ উপড়ানোর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুকুরটি তাদের শরীকান। সবার সম্মতিক্রমে আড়াই লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ বছর পুকুরটি সংস্কার করা হয়েছে। অন্য জায়গায় পুকুরটি লীজ দিতে গেলে মাবিয়ার হুমকীর মুখে কেউ পুকুরটি না নেয়ায় তিন বছর মেয়াদে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার চুক্তিতে তাকেই পুকুরটি লীজ দেয়া হয়। কিন্তু সে মাত্র ৫ হাজার টাকা বায়না দিয়ে পুকুরে মাছ চাষ শুরু করে ও পুকুরপাড়ে কলা গাছ লাগায়। লীজের অবশিষ্ট টাকা চাইতে গেলে সে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জরুরী সেবা থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category