মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ধূলন্ডী গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্যোগে সর্বজনীনভাবে অধ্যাপক নিরঞ্জন সরকারের বাড়িতে ৩ দিন ব্যাপী পালিত হলো দোল পূর্ণিমা।
সনাতন শাস্ত্রমতে, দোলযাত্রা হিন্দু বৈষ্ণবদের উৎসব। এই তিথিতে লীলা পুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে শ্রীমতি রাধিকা এবং তাঁর সখীগণের সঙ্গে আবির খেলায় মেতেছিলেন। সেই থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি। দোলযাত্রার দিন রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগর কীর্তনে বের হন। এ সময় ভক্তরা রং খেলার আনন্দে মেতে ওঠেন। বিশ্বের অনেক স্থানে উৎসবটি শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা নামে অধিক পরিচিত। তবে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মাদ্রাজ, উড়িষ্যা প্রভৃতি স্থানে দোল উৎসব এবং উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য ভারত ও নেপালে ‘হোলি’ নামে পরিচিত। কোন কোন স্থানে এ উৎসবকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়ে থাকে। পুষ্পরেণু ছিটিয়ে রাধা-কৃষ্ণদোল উৎসব করতেন। সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণুর জায়গায় এসেছে ‘আবির’। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পরস্পরকে আবির ও রঙ মাখিয়ে এ উৎসব উদযাপন করে থাকেন।