1. b71newstv@gmail.com : Moshiur Rahman : Moshiur Rahman
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন

মুকসুদপুরে বিএডিসি’র গুদাম সহকারী ভান্ডার কর্মকর্তা অনির্বাণ কীর্তনীয়ার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

কেএম সাইফুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫২১ Time View

 

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার সিন্ধিয়া ঘাট এলাকায় সরকারি বিএডিসি’র গুদামে দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর যাবত কর্মরত সহকারী ভান্ডার কর্মকর্তা অনির্বাণ কীর্তনীয়ার  বিরুদ্ধে সরকারি সার সরবরাহে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমকর্মীদের একটি অনুসন্ধানী দল বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিবেদনের জন্য সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি পত্র (ডিও) ও বৈধ চালান বিহীন উক্ত গোডাউন থেকে একাধিক ট্রাকে সার বোঝাই করে তড়িঘড়ি করে গোডাউন ত্যাগের পায়তারা চালায়। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে সরকারি সার বোঝাই ট্রাক ড্রাইভাররা জানান চালান আসার আগেই এই গুদামের সহকারী ভান্ডার কর্মকর্তা অনির্বাণ কীর্তনীয়া স্যার আমাদের ট্রাকে সার লোড করতে বলেছেন তাই আমরা সার লোড করেছি। আমার ট্রাকে ২০ টন সার রয়েছে যা পাচ্চর পৌঁছে দিতে হবে। অন্যদের ট্রাকেও বিভিন্ন পরিমাণে সার লোড দেওয়া রয়েছে।

এ সময় মুকসুদপুর উপজেলার সিন্দিয়াঘাট বিআরডিসি’র গুদামে গিয়ে অভিযুক্ত সহকারী ভান্ডার কর্মকর্তা অনির্বাণ কীর্তনীয়াকে তার অফিস কক্ষে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে, গণমাধ্যমকর্মীদের আসার খবর পেয়ে তিনি তড়িঘড়ি করে অফিসে এসে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। গণমাধ্যমকর্মীরা এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী ভান্ডার কর্মকর্তা অনির্বাণ কীর্তনীয়ার নিকট বিনা ডিও এবং চালানে সরকারি সার ট্রাকে লোড করার কথা জানতে চাইলে তিনি উগ্র মেজাজে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে এভাবে ট্রাকে লোড


করেন বলে জানান। এসময় এ কথাগুলো তাকে ক্যামেরার সামনে বলার অনুরোধ জানালে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ফরিদপুরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট যাওয়ার কথা বলে তার রুম থেকে বেরিয়ে যান। ওই দপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারীরা জানান স্যার পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেই ২০১৯ সালে এখানে যোগদান করেন। তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী সাতপাড় ইউনিয়নে হওয়ার সুবাদে এবং পতিত সরকারের নেতাকর্মীদের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তিনি একই কর্মস্থলে দীর্ঘ বছর যাবত রয়েছেন এবং সেখানে থাকার সুবাদে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছেন।

অনুসন্ধানী তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ শেষে গণমাধ্যমকর্মীরা ফেরার সময় এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী ভান্ডার কর্মকর্তা অনির্বাণ কীর্তনীয়া তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে গণমাধ্যমকর্মীদেরকে ভিডিও করেন এবং নিউজ করে যা পারেন তা করে নেওয়ার হুমকি দেন এবং সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য অভিযুক্ত সহকারী ভান্ডার কর্মকর্তা অনির্বাণ কীর্তনীয়া ও তার লোকজন বলেন, এ গোডাউনে পুলিশ আসতেও ভয় পায়, আর তো সাংবাদিক।

এ বিষয়ে ফরিদপুর বিএডিসি’র সহকারী পরিচালক (সার) মোঃ সাইম মল্লিক মুঠোফোনে আমাদের প্রতিনিধিকে জানান চালান ছাড়া কোন অবস্থাতেই ট্রাকে বিএডিসির সার লোড করে গোডাউনের বাহিরে যাওয়া যাবে না। সহকারী ভান্ডার কর্মকর্তা অনির্বাণ কীর্তনীয়া চাকরির শুরু থেকেই ওখানে কর্মরত রয়েছেন।

বিএডিসির কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চরম অব্যবস্থাপনা ও স্বেচ্ছাচারিতায়
দেশে সরকারি সার বিতরণে নানা অনিয়মের ফলে দেশে উৎপাদিত সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়। কৃষকেরা যথাসময়ে তাদের জমিতে সার প্রয়োগ করতে পারেন না। অসহায় কৃষকেরা নিরুপায় হয়ে তখন চড়া দামে ভেজাল ও নিম্নমানের সার কিনে প্রতারিত হয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন দিনের পর দিন। তাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে কতিপয় সেই সকল অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী অসহায় কৃষক ও সচেতন মহলের নেতৃবৃন্দরা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category