1. b71newstv@gmail.com : Moshiur Rahman : Moshiur Rahman
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ০৬:০১ পূর্বাহ্ন

মুকসুদপুরে দুর্নীতির প্রতিবাদ করার জেরে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

কে এম সাইফুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৪৮৫ Time View

 

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের ৫৯ নং চাওচা খানজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হেনা বেগম এবং নৈশ প্রহরী স্বপন বাড়ৈ সংঘবদ্ধ দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদ করার জেরে প্রতিবাদকারী মনিকা আক্তার (শিক্ষার্থী) ও তার বোন (গৃহিণী) নাইকা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযুক্তরা মুকসুদপুর থানায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পরে ভুক্তভোগী মনিকা আক্তার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে গত ২৪ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উক্ত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পুরাতন ১০০টি বেঞ্চ,৭টি বিআরবি কোম্পানীর সিলিং ফ্যান, পুরাতন চেয়ার ও আসবাবপত্র বিক্রি করে আনুমানিক দুইলক্ষ টাকা অভিযুক্তরা আত্মসাৎ করে। পরে প্রতিবাদ জানিয়ে চলতি মাসের ১৯ জানুয়ারিতে এ বিষয়ে মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন মনিকা আক্তার। এঘটনায় অভিযুক্ত স্কুল কমিটির সভাপতি হেনা বেগম আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মনিকা আক্তার ও তার বোন নাইকা আক্তার সহ অজ্ঞাত ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মুকসুদপুর থানা মামলা নং -২২/২৩।

ভুক্তভোগী মনিকা আক্তার গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমার বাবা ও মা দীর্ঘদিন ওই স্কুলের সভাপতি ছিলেন তাই স্কুলটি মনে হয় আমাদের পরিবারেরই একটা অংশ। ওই


স্কুলের যে কোন ক্ষতি ও দুুর্নীতি দেখলে আমরা প্রতিবাদ করি। তাছাড়া স্কুলের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের সাথে জড়িত। শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে পুরাতন বই সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে প্রতি বছর প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেয়। এবিষয়ে এলাকার কোনো লোক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান
শিক্ষিকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চাইলে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ার সুবাদে তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। গণমাধ্যমকর্মীদের মনিকা আক্তার আরো বলেন, আমার বিশ্বাস জেলা প্রশাসক মহোদয় নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের আইনের
আওতায় আনবেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সভাপতি হেনা বেগম বলেন, তদন্ত চলমান আছে, এ বিষয়ে এখন কিছু বলা যাবে না।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যেহেতু দিয়েছে, তদন্তের মাধ্যমেই সত্য জানা যাবে, আমি দোষী হলে আমার বিচার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ করবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নৈশ প্রহরী স্বপন বাড়ৈ বলেন, মনিকা ও তার বোন নাইকা আক্তার স্কুলের কোন ক্ষতি সাধন করে নাই ও আমার সাথে তাদের কোন হাতাহাতি হয় নাই। টাকা পয়সাও হারায় নাই, এই মামলার সাথে তারা জড়িত না।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোসলেম উদ্দিন বলেন তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category