1. b71newstv@gmail.com : Moshiur Rahman : Moshiur Rahman
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন

রুহিয়ায় সড়কের ১৮৬ মিটার রাস্তা জনদূর্ভোগের প্রধান কারন,প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা

হুসাইন মোহাম্মদ আরমান ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩
  • ৪১৪ Time View

 

রুহিয়ায় প্রধান সড়কের ১৮৬ মিটার রাস্তা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। যেন দেখার কেউ নেই। সেখানে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানান ধরনের দুর্ঘটনা। জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

জানা যায়, রুহিয়া-ঠাকুরগাঁও সড়কের ১নং রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন রাস্তা থেকে পুরাতন পল্লীবিদ্যুৎ পর্যন্ত পাকা রাস্তাটি এক সময় খানা খন্দকে ভরা ছিল। সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজের অংশ হিসেবে উপরে বর্নিত অংশ টুকু পুনরায় নির্মাণ কাজে বরাদ্দ আসে। কাজটির বাস্তবায়নে দায়িত্ব পায় সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের অধীনে ঠাকুরগাঁওয়ের একটি বৃহৎ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। আড়াই মাস পূর্বে ঐ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ শুরু করে রাস্তার এক পাশের কাজ সমাপ্ত করলেও অপর পাশ এখনো শুরু করতে পারেনি। গ্রীষ্মকালে কাজটি শুরু করলেও চলমান বর্ষার কারণে অসমাপ্ত রাস্তার পাশটি পানিতে ডুবে নালায় পরিণত হয়েছে। এছাড়াও রাস্তার দুই পাশে উচু থাকায় মাটি দিয়ে ভরাট না করায় এবং রাস্তার মধ্য খানে লোহার রড অসাভাবিক রাখায় রাস্তাটি যেন মৃত্য কূপে পরিণত হয়েছে।

ঐ এলাকার হেলাল, নিশাদ, নাজমুলসহ প্রত্যক্ষ দর্শি অনেকেই বলেন, এখানে রাস্তার কাজ অসম্পন্ন থাকায় বিভিন্ন দুর্ঘটনা আমাদের চোখের সামনেই ঘটলেও দূঃখের বিষয় আমাদের করার কিছুই থাকে না। অনতি বিলম্বে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শেষ করলে জনদূর্ভোগ অনেকাংশে কমে যাবে।

১নং রুহিয়া ইউনিয়ণ পরিষদ চেয়ারম্যান ও রুহিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মনিরুল হক বাবু বলেন, আমি রাস্তার কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকারদারকে বারবার তাগাদা দেয়া স্বত্তেও কাজ হচ্ছে না।

ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী অর্জুন রায় বলেন, রুহিয়ার রাস্তাটি জনদূর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে বিষয়টি সত্য। আমরা ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শেষ করে জন চলাচল সহজ করার জন্য বলেছি।

ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপদের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী রাফিউল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আসলে রাস্তার একটি সাইট নির্মাণ করার পরে অপর সাইটটি ২১/২৮ দিন পরে করার নিয়ম রয়েছে। তাই যেহেতু সময় পার হয়ে গেছে সেহেতু উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ঈদের পরপরই বাকি কাজটি সমাপ্ত করার জন্য জোর তাগিদ দিয়েছি। আশা করি ২/১ দিনের মধ্যে কাজটি শুরু হয়ে যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা হবে।

এ বিষয়ে ঠিকাদার দিপক কুমার রায় এর মুঠো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান বলেন, আমি ঠিকাদারের সাথে কথা বলবো যাতে দ্রুত কাজটি সমাপ্ত করে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category