মানিকগঞ্জে ভিন্নভিন্ন স্থানে ২দিনে ৩টি অগ্নিকাÐের ঘটনায় কয়েক কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের জাফরগঞ্জ বাজারের আব্দুর রশিদ মেম্বারের(সাবেক ইউপি সদস্য) বেকারি কারখানা, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মানিকগঞ্জের গোলড়া বিসিক এলাকার একটি মশার কয়েল কারখানা এবং ভোর সাড়ে ৩টার দিকে শিবালয় উপজেলার আরিচা কাঠপট্টিতে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় একটি বসতবাড়ি, একটি ‘স’মিল এবং পনেরটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ কোটি টাকার সম্পদ সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানান, শনিবার দিনগত রাতে জাফরগঞ্জ, রবিবার দিনগত রাতে গোলড়া ও আরিচার আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের টিম অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। আগের দিন জাফরগঞ্জে ফায়ার সার্ভিসের ২টা ইউনিট, পরের দিন গোলড়ার কয়েল কারখানায় ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট এবং আরিচার আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করেছে।

আরিচা অগ্নি নির্বাপণে নিয়োজিত বাহিনী, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার শেষ রাতে কাঠ মার্কেট ফার্নিচার দোকানে আগুনের সূত্রপাত। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও পার্শ্ববর্তী দোকান, ‘স’ মিল, বাড়িসহ অন্যান্য স্থাপানায় আগুন লেগে যায়। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একদল কর্মী আধঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে ২০/২২টি স্থাপনা পুড়ে গেছে।

আরিচার ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী আসলাম ও শচিন সূত্রধর জানান, কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের সবকিছু আগুনে পুড়ে গেছে। নিঃস্ব হয়ে গেছেন তাঁরা।

শিবালয় বন্দর ব্যবসায়ী সমিতিরি সভাপতি মো. ইকবার হোসেন জানান, বাজারের এ ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে যাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ীর সংসারে দেখা দেবে অভাব অনটন।

শিবালয় উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. নাদির হোসেন জানান, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে দুটি ইউনিট নিয়ে কাজ শুরু করেন। ঘিওর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসার আগেই তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছেন – বৈদ্যুতিক শর্ট সাকিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, তদন্ত না করে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করা সম্ভব নয়।